অভিশাপ ও বদদোয়ার আধিক্য কি কেয়ামতের লক্ষণ হতে পারে?

প্রশ্নের বিবরণ

– “তাদের সালাম অভিশাপস্বরূপ” – এই হাদিসটি কিভাবে বুঝতে হবে?

উত্তর

প্রিয় ভাই/বোন,

ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রহ.) বর্ণনা করেছেন যে, নবী করীম (সা.) বলেছেন:


“আমার উম্মত শরীয়তের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে, যতক্ষণ না তিনটি বিষয় প্রকাশ পায়: তাদের মধ্য থেকে ইলম (জ্ঞান) কেড়ে নেওয়া হবে, অবৈধ সন্তানরা বৃদ্ধি পাবে এবং তাদের মধ্য থেকে সাক্কাররা (দুষ্টরা) আবির্ভূত হবে…”


“সাক্কাররা আবার কারা?”

যখন তারা জিজ্ঞাসা করল:


“তারা একদল লোক, যারা শেষ জামানায় আবির্ভূত হবে, তাদের মধ্যে সালাম আদান-প্রদান অভিশাপের রূপ ধারণ করবে।”




(মুসনাদ, ৩/৪৩৯)।

ভবিষ্যতে এ ধরনের লোক দেখা দিতে পারে। তবে হাদিস থেকে এটাও বোঝা যায় যে, এমন একটা সময় আসবে যখন মানুষ একে অপরকে সালাম দিলেও আন্তরিক হবে না। কারণ সালামের অর্থ হল,



“আল্লাহর সালাম তোমার উপর বর্ষিত হোক।”



এই আকারে; অর্থাৎ



“তুমি আমার থেকে ভয় পেও না, আমার থেকে তোমার কোনো ক্ষতি হবে না…”

এর অর্থ হল।

শেষ জামানায় কিছু মানুষ, জনসমষ্টি ও সমাজ একে অপরকে অপরিচিত, শত্রু ও ভিন্ন হিসেবে দেখবে, ফলে তাদের সালামও নিরাপত্তা ও ভরসা দিতে পারবে না। বস্তুত, অভিশাপের অর্থই হল দূরে থাকা। এই অবস্থা শুধু ব্যক্তিতে ব্যক্তিতেই নয়, বরং সমাজসমূহের মধ্যকার সম্পর্কেও প্রযোজ্য।


সালাম ও দোয়ার সহিত…

প্রশ্নোত্তরে ইসলাম

সর্বশেষ প্রশ্ন

দিনের প্রশ্ন