ক্যাটাগরি

এই এলাকায় ইসলাম সম্পর্কিত বিস্তৃত বিষয় রয়েছে, বিশ্বাস ও ইবাদতের নীতি থেকে শুরু করে নৈতিক মূল্যবোধ এবং সামাজিক বিষয় পর্যন্ত। আপনি যে বিষয়গুলো সম্পর্কে আগ্রহী সেগুলো সহজেই অ্যাক্সেস করতে পারেন এবং আপনার ধর্মকে আরও ভালোভাবে বুঝতে এবং অনুশীলন করতে নির্ভরযোগ্য তথ্য পেতে পারেন।

ফিকহ হল ইসলাম ধর্মে ইবাদত, মুআমালাত, আখলাক ও দণ্ডবিধি ইত্যাদি ক্ষেত্রে আল্লাহর বিধানসমূহকে বুঝা ও প্রয়োগের বিদ্যা। এই বিভাগে ওযু, নামাজ, রোজা, যাকাত, হজ্ব ইত্যাদি ইবাদতের বিধানের পাশাপাশি বিবাহ, বাণিজ্য, উত্তরাধিকার ও দণ্ডবিধি ইত্যাদি দৈনন্দিন জীবনের সাথে সম্পৃক্ত বিষয়সমূহের ফিকহী তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। এখানে হানাফী মাযহাব সহ চার মাযহাবের মতামতের পাশাপাশি সমসাময়িক ফিকহী মাসআলাসমূহের ব্যাখ্যাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এই বিভাগটি ইসলামের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করে; যেমন, বিভিন্ন মাজহাবের মধ্যে পার্থক্য, বিভিন্ন ইসলামী সংস্কৃতি, ধর্মীয় ঐতিহ্যের বৈচিত্র্য, সুন্নাহ ও ইজতিহাদের মতো বিভিন্ন ব্যাখ্যার ধরন। এটি সন্দেহ, ব্যাখ্যা এবং ধর্মীয় বিষয়ে বিভিন্ন दृष्टिकोण সম্পর্কেও আরও তথ্য प्रदान করে। এই বৈচিত্র্য শুধু একটি সম্পদই নয়, বরং ইসলামের সার্বজনীন বার্তাটি বিভিন্ন মানুষ ও সমাজ দ্বারা আরও ভালোভাবে বোঝার একটি উপাদান।
ইসলামের দৃষ্টিতে মানুষ আল্লাহর সৃষ্ট সর্বশ্রেষ্ঠ সৃষ্টি। এই বিভাগে মানুষের সৃষ্টি, স্বভাব, আত্মা ও দেহের মধ্যকার সম্পর্ক আলোচিত হয়। মানুষকে আল্লাহর ইবাদত করা, তাঁর প্রতি ঈমান আনা এবং সঠিক পথ অনুসরণ করার জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে। মানবজাতি তার স্বভাবগত সম্ভাবনা ও স্বাধীন ইচ্ছাশক্তির দ্বারা ভালো ও মন্দ উভয়ের দিকেই ধাবিত হতে পারে। এই বিভাগে মানুষের সৃষ্টির উদ্দেশ্যের সাথে সম্পর্কিত শিক্ষা, ইসলামে মানবাধিকার, স্বাধীন ইচ্ছা, দায়িত্ববোধ এবং সমাজে মানুষের ভূমিকা ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আলোচিত হয়। এছাড়াও, পৃথিবীতে মানুষের পরীক্ষা, পরকালে তার প্রতিদান এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভের উপায়সমূহও এই বিভাগে আলোচিত হয়।
সৃষ্টি হল মহাবিশ্ব, মানুষ এবং সমস্ত জীবের আল্লাহ কর্তৃক সর্বশ্রেষ্ঠ উপায়ে সৃষ্টির প্রক্রিয়া। ইসলাম অনুসারে, সবকিছুই আল্লাহর ইচ্ছায় সৃষ্টি হয়েছে এবং প্রতিটি সৃষ্টি একটি উদ্দেশ্য সাধন করে। এই বিভাগটি মহাবিশ্ব এবং মানুষের সৃষ্টি, আল্লাহর ক্ষমতা এবং সৃষ্টির প্রজ্ঞাকে বর্ণনা করে।
ঈমান হল ইসলামের মৌলিক বিশ্বাসসমূহের প্রতি স্বীকৃতি ও আন্তরিকভাবে তা সত্যায়ন করা। এই বিভাগে ইসলামের ছয়টি মৌলিক ঈমান-তত্ত্ব আলোচিত হয়েছে: আল্লাহ, ফেরেশতাগণ, কিতাবসমূহ, নবীগণ, আখিরাত (পরকাল) এবং তাকদীর (ভাগ্য) এর প্রতি বিশ্বাস। প্রতিটি ঈমান-তত্ত্বের অর্থ, গুরুত্ব এবং একজন মুমিন মুসলমানের এগুলোর প্রতি কিরূপ দৃষ্টিভঙ্গি থাকা উচিত, তা বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। এছাড়াও, ঈমান সংক্রান্ত ভ্রান্ত ধারণা এবং ইসলামের ঈমান-তত্ত্বের পরিপন্থী বিশ্বাসসমূহকে কিভাবে সংশোধন করা যায়, সে বিষয়ে দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। ঈমানকে ইসলামে একটি পূর্ণাঙ্গ বিষয় হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং এই বিভাগে প্রতিটি তত্ত্বের বিস্তারিত তথ্য সন্নিবেশিত রয়েছে।
ইসলাম একটি ধর্ম যা আল্লাহ তাআলা তাঁর শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর মাধ্যমে মানবজাতির কাছে পাঠিয়েছেন। এটি তাওহীদ (একত্ববাদ) এবং সঠিক জীবনধারা শিক্ষা দেয়। এই বিভাগে, ইসলামের মৌলিক বিশ্বাস, ইবাদত, নৈতিক মূল্যবোধ এবং ইসলামের নীতিগুলি নিয়ে আলোচনা করা হয় যা মানুষের জীবনকে পরিচালিত করে। ইসলাম মানুষকে শুধুমাত্র আল্লাহর দাসত্ব করতে এবং তাঁর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য আহ্বান করে। ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভ (শাহাদাত, নামাজ, রোজা, যাকাত ও হজ) এই বিভাগের মৌলিক উপাদান। এছাড়াও, ইসলামে আইন, বিচার, স্বাধীনতা, সাম্য এবং সহনশীলতার মতো সার্বজনীন মূল্যবোধ, ইসলাম মানুষের এবং সমাজের জন্য যে দিকনির্দেশনা প্রদান করে এবং ব্যক্তিদের আধ্যাত্মিক বিকাশ সম্পর্কে তথ্য প্রদান করা হয়। ইসলাম একটি বিস্তৃত শিক্ষা যা ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনকে অন্তর্ভুক্ত করে এবং এর লক্ষ্য হল আল্লাহর প্রতি ভালবাসা ও আনুগত্য জীবনের প্রতিটি মুহুর্তে প্রকাশ পায়।
অধিবিদ্যা ভৌত জগতের বাইরে অবস্থিত, ইন্দ্রিয় দ্বারা অনুভূত না হওয়া, কিন্তু যার অস্তিত্ব স্বীকৃত, এমন বাস্তবতা নিয়ে আলোচনা করে। ইসলামী চিন্তাধারায় অধিবিদ্যা, আল্লাহ তা'আলার অস্তিত্ব, আত্মা, পরকাল, ফেরেশতা, জ্বীন, ভাগ্য এবং গায়েব (অদৃশ্য জগত) এর মতো বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করে। এই বিভাগটি, ইসলামী আকায়েদের কাঠামোর মধ্যে এবং দার্শনিক দৃষ্টিকোণ থেকে অধিবিদ্যার ধারণাগুলো কীভাবে আলোচিত হয় তা পরীক্ষা করার লক্ষ্য রাখে। কুরআনুল কারীম গায়েবের (অদৃশ্য) প্রতি ঈমান আনয়নকারীদের প্রশংসা করে এবং অধিবিদ্যক উপাদানগুলোর প্রতি ঈমানকে মুমিন হওয়ার মৌলিক শর্তগুলোর মধ্যে একটি হিসেবে গণ্য করে। অধিবিদ্যা শুধুমাত্র জ্ঞান নয়, বরং ঈমানেরও বিষয়। এই বিভাগটি, আত্মার প্রকৃতি, মৃত্যুর পরবর্তী জীবন, ফেরেশতা এবং জ্বীনের অস্তিত্বের মতো বিষয়গুলো, ইসলামী উৎস এবং ক্লাসিক্যাল ইসলামী দার্শনিকদের (আল-ফারাবী, ইবনে সিনা, গাজ্জালী প্রমুখ) মতামতের উপর ভিত্তি করে ব্যাখ্যা করার লক্ষ্য রাখে। অধিবিদ্যা মানুষকে তার সৃষ্টির উদ্দেশ্য, মহাবিশ্বে তার স্থান এবং জীবনের অর্থ নিয়ে গভীরভাবে প্রশ্ন করার সুযোগ দেয়। এই দিক থেকে এটি বুদ্ধিবৃত্তিক এবং আধ্যাত্মিক উভয় গভীরতা প্রদান করে।