সহবাসের আগে যদি স্বামী স্ত্রীকে তালাক দেয়, তাহলে কি এক তালাক কার্যকর হবে?

প্রশ্নের বিবরণ


১. জিফাফ বলতে কী বোঝায়? কি শুধু নারীর কুমারীত্ব ভঙ্গ করাই জিফাফ? নাকি চুম্বন বা সহবাস, কিন্তু কুমারীত্ব ভঙ্গ না করে, সেটাও জিফাফ হিসেবে গণ্য হবে? দয়া করে এই প্রশ্নগুলোর উত্তর আলাদা আলাদা করে লিখুন।

২. বিয়ের আগে স্বামী যদি তিন তালাক দিয়ে স্ত্রীকে তালাক দেয়, তাহলে কি তা এক তালাক হিসেবে গণ্য হবে? ধর্মীয় বিষয়ক অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে যে, তা এক তালাক-ই-বাইন্ হবে, কিন্তু তিন তালাক দিলে কি তাও এক তালাক-ই-বাইন্ হবে?

৩. যদি কেউ তালাক দিয়ে আবার বিয়ে না করে পুনরায় তালাক শব্দ উচ্চারণ করে, তাহলে কি তা তালাক হিসেবে গণ্য হবে? নাকি তা প্রথম তালাক হিসেবেই গণ্য হবে?

উত্তর

প্রিয় ভাই/বোন,


1. বাসর রাত,

এর অর্থ হল যৌন মিলন (সহবাস)।

বৈধ নির্জনতা,

বিয়ের পর এবং সহবাসের আগে, নারী ও পুরুষের এমন একটি পরিবেশে একান্তে থাকা যেখানে তাদের মধ্যে যৌন সম্পর্ক স্থাপনে কোনো বাধা নেই।


২.

কোরআন শরীফে এমন এক ব্যক্তির কথা বলা হয়েছে, যে তার এমন স্ত্রীকে তালাক দিয়েছে যার সাথে সে এখনও যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেনি;


“হে মুমিনগণ! তোমরা মুমিন নারীদেরকে বিবাহ কর, অতঃপর তাদেরকে স্পর্শ না করে…”

(যৌন মিলন না করে)

যখন তোমরা তাদেরকে তালাক দাও, তখন তোমাদের উপর তাদের জন্য কোন ইদ্দত নেই। এক্ষেত্রে তোমরা তাদেরকে মোহরানা দাও।

(উপহার)

দিয়ে দিন এবং নিজেদেরকে সুন্দরভাবে ছেড়ে দিন।”


(আল-আহযাব, ৩৩/৪৯)

নির্দেশিত আছে। যে ব্যক্তি তার স্ত্রীর সাথে সহবাস করেনি এবং যার সাথে তার বৈধ নির্জনবাস হয়নি,

“তুমি ফাঁকা/তুমি নগণ্য”

সে যদি তিনবার একই কথা বলে তালাক দেয়, তাহলে তাকে

একবার তালাক দিয়ে

তালাকপ্রাপ্ত হবে।


৩.

বৈধ বিবাহের পর, সহবাস ও নির্জনবাসের পূর্বে যদি কেউ তার স্ত্রীকে তালাক দেয়, তবে এই তালাকটি, পূর্বেই বিবৃত করা হয়েছে, বৈধ হবে।

কিন্তু,

প্রথম তালাকের পর যে তালাকগুলো দেওয়া হবে সেগুলো বৈধ হবে না।

কারণ এখানে তালাকপ্রাপ্ত নারীকে ইদ্দত পালন করতে হয় না এবং তালাকের কোন অবকাশও থাকে না।


অধিক তথ্যের জন্য ক্লিক করুন:


– বাইন তালাক।

– নির্জনতা।

– তালাক।


সালাম ও দোয়ার সহিত…

প্রশ্নোত্তরে ইসলাম

সর্বশেষ প্রশ্ন

দিনের প্রশ্ন