প্রিয় ভাই/বোন,
যদি বিমানে, ট্রেনে, জাহাজে বা এ জাতীয় যানবাহনে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করার সুযোগ থাকে এবং বাইরে বের হওয়ার মতো অবস্থা না থাকে, আর যদি যানটি থেমে থাকে, তাহলে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। যদি যানচালক যান থেকে নেমে নামাজ আদায় করতে না পারে এমন কোন অজুহাত থাকে, তাহলে তাকে যান থামিয়ে যানটির মধ্যেই নামাজ আদায় করতে হবে।
প্রাণী ও যানবাহনে নাপাকি থাকলে নামাজে কোন বাধা নেই।
চলন্ত যানবাহনে নামাজ আদায় করার সময় কিবলামুখী হওয়া বাধ্যতামূলক নয়। যানবাহনের গতির দিকে মুখ করে বসে ইশারায় নামাজ আদায় করা যায়।
দাঁড়িয়ে নামাজ পড়া নামাজের ফরজসমূহের একটি, যাকে আমরা কিয়াম বলি। তাই, যে ব্যক্তি দাঁড়িয়ে নামাজ পড়তে সক্ষম, তার জন্য দাঁড়িয়ে নামাজ পড়া ছাড়া নামাজ আদায় হবে না। তবে, বাসে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়তে অক্ষম ব্যক্তি বসে নামাজ আদায় করতে পারে।
রাসূলুল্লাহ (সা.) নফল নামাজ উটের পিঠে আদায় করতেন, আর ফরজ নামাজ মাটিতে আদায় করার প্রতি গুরুত্ব দিতেন; তবে মাটিতে আদায় করা সম্ভব না হলে উটের পিঠে আদায় করার ইঙ্গিত দিয়েছেন।
মাটির কর্দমাক্ত অবস্থা, কাফেলার অপেক্ষা না করা, বাহন জন্তুর বদমেজাজি হয়ে পালিয়ে যাওয়া… ইত্যাদি অজুহাতগুলো মাটিতে না নামার অজুহাত হিসেবে দেখানো হয়েছে।
এই দৃষ্টিকোণ থেকে, গাড়িতে বসে নামাজ আদায় করার কোন অসুবিধা নেই বলা যেতে পারে। গাড়িতে বসে নামাজ আদায় করার সময় ইশারায় নামাজ আদায় করতে হবে।
সালাম ও দোয়ার সহিত…
প্রশ্নোত্তরে ইসলাম