মুহাম্মদ (সা.)-এর উম্মতের আয়ুষ্কাল ১৫০০ বছরের বেশি হবে না এবং কিয়ামতের নিকটবর্তী সময়ে মুসলমান ও ইহুদিদের মধ্যে যুদ্ধ হবে, এ খবর কি সত্য?

প্রশ্নের বিবরণ

এই বিরাট যুদ্ধে, প্রতিটি পাথরের আড়ালে থাকলেও পাথর “আমার পেছনে একজন ইহুদি আছে!..” বলে খবর দেবে, এটা কতটুকু সত্য?

উত্তর

প্রিয় ভাই/বোন,

যেমন আয়াতের মধ্যে মুতাশাবিহাত (রূপক) আছে, তেমনি হাদিসের মধ্যেও মুতাশাবিহাত (রূপক) আছে। অর্থাৎ, কিছু গভীর সত্যকে উপমা ও সাদৃশ্যের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে। এই মুতাশাবিহ হাদিসগুলোর মধ্যে একটি হল উপরে উল্লেখিত হাদিস। আল্লাহু আ’লাম (আল্লাহই সর্বজ্ঞ) এর একটি ব্যাখ্যা হতে পারে:

শেষ জামানায় ইহুদিদের দুর্নীতি ও ধ্বংসলীলা এত বেড়ে যাবে এবং তাদের ঔদ্ধত্য ও বিদ্রোহ এত বৃদ্ধি পাবে যে, তা মুসলিম ও খ্রিস্টানদের একতাবদ্ধ ও একযোগে কাজ করতে বাধ্য করবে। এই একতার পর তারা ইহুদিদের বিরুদ্ধে একতাবদ্ধ শক্তি হয়ে তাদের ধ্বংস করবে।

সারা বিশ্বে ইহুদিদের বিরুদ্ধে এক বিরাট বিদ্বেষ সৃষ্টি হবে, ফলে সবাই গণমাধ্যমসহ নানা উপায়ে ইহুদিদের ধরিয়ে দেয়ার ও নির্মূল করার চেষ্টা করবে। নবী করীম (সা.) এই পরিস্থিতির চরম রূপের কথা বলেছেন।

“পাথর আর গাছপালাও খবর দেবে”

বলেছেন/উল্লেখ করেছেন।

অধিক তথ্যের জন্য ক্লিক করুন:

– “আমার উম্মতের আয়ু ১৫০০ বছরের বেশি হবে না।” এই উক্তি কি হাদিস? যদি এই হাদিসটি সহীহ হয়, তাহলে কিয়ামতের সময় কি এই বছরগুলোকেই নির্দেশ করে? এই অবস্থায় একজন মুসলমানের কি করা উচিত?

– তারা আখেরি জামানায় ইহুদি ও মুসলমানদের মধ্যে সংঘটিতব্য যুদ্ধের কথা বলে। কোনো ইহুদি যে গাছের বা পাথরের আড়ালে লুকাবে, সেই গাছ বা পাথর তার খবর দেবে, এ সম্পর্কে কি আপনি তথ্য দিতে পারেন?


সালাম ও দোয়ার সহিত…

প্রশ্নোত্তরে ইসলাম

সর্বশেষ প্রশ্ন

দিনের প্রশ্ন