মসজিদের নিচে কি টয়লেট বানানো যায়? একজন ইমাম বলেছেন যে মসজিদের নিচে পরে টয়লেট বানানো যায় না; আসলে ব্যাপারটা কি?

প্রশ্নের বিবরণ

আমাদের মহল্লার মসজিদে কয়েক বছর আগে একটা জরাজীর্ণ শৌচাগার ছিল; আমাদের বিল্ডিংয়ের বাসিন্দাদের উদ্যোগে সেটা সরিয়ে ফেলা হয় এবং শুধু ওযু করার জন্য একটা ফোয়ারা বানানো হয়। এখন আবার শৌচাগার বানানোর কথা হচ্ছে, কিন্তু বলা হচ্ছে মসজিদের নিচে বানাতে। মসজিদের কিছু লোক একজন হুজুরের কাছে জিজ্ঞেস করেছিল, হুজুর বলেছেন মসজিদের নিচে পরে শৌচাগার বানানো যাবে না; আসলে ব্যাপারটা কি?

উত্তর

প্রিয় ভাই/বোন,


মসজিদ এবং উপাসনালয় আল্লাহর ইবাদতের জন্য নির্মিত হয়।

বিশ্বাসীরা দিনে পাঁচবার জীবনের দুঃখ-কষ্ট ও ঝঞ্ঝাট একপাশে রেখে এই স্থানে সমবেত হয়ে আল্লাহর প্রতি তাদের দাসত্বের দায়িত্ব পালন করে, একে অপরের সাথে দেখা করে, দুঃখ-কষ্ট ভাগ করে, সমস্যা সমাধান করে এবং একে অপরকে সাহায্য করার প্রয়োজন হলে তা নিয়ে আলোচনা করে।

বিশ্বাসীদের জন্য যে স্থানগুলো এত গুরুত্বপূর্ণ এবং যেখানে ঐশ্বরিক রহমত প্রচুর পরিমাণে বর্ষিত হয়, সেই পবিত্র স্থানগুলো।

মসজিদ ও উপাসনালয়ের ছাদে প্রস্রাব-পায়খানা করা বা যৌনমিলন করা মাকরূহ।

তবে, একটি মসজিদের ছাদসহ একটি বাড়ির ছাদে নির্দিষ্ট কাজগুলো করায় কোন অসুবিধা দেখা যায়নি।

বর্তমানে কিছু অ্যাপার্টমেন্টের ফ্ল্যাটকে মসজিদ হিসেবে ব্যবহার করা এই দ্বিতীয় ধারার মধ্যে পড়ে। অর্থাৎ, এগুলোকে ঘরের মধ্যে মসজিদের মর্যাদা দেওয়া হয়। এদিক থেকে মসজিদের উপরের ফ্ল্যাটে হাম্মাম ও টয়লেট থাকাতে কোন আপত্তি নেই।

(জালাল ইলদিরিম, সূত্রসহ ইসলামী ফিকহ, উইসাল প্রকাশনী: ১/৩৭১-৩৭২।)

মসজিদের নিচে প্রস্রাব করা জায়েজ হলেও, অন্য কোথাও করাটাই উত্তম।


সালাম ও দোয়ার সহিত…

প্রশ্নোত্তরে ইসলাম

সর্বশেষ প্রশ্ন

দিনের প্রশ্ন