–
ইসলামের দৃষ্টিতে, যে ব্যক্তি বিবেক হারিয়ে ফেলেছে, সে আবার বিবেকবান কিভাবে হতে পারে?
প্রিয় ভাই/বোন,
“কখনো না”
(পূর্বে)
গালিগালাজ করে মরে যাওয়া
(ঈমানকে বেছে নেওয়ার পর)
যাকে আমরা হেদায়াত দ্বারা পুনরুজ্জীবিত করেছি এবং তাকে এমন একটি ঈমান দান করেছি, যা নিয়ে সে মানুষের মাঝে বিচরণ করে।
(নূর)
যাকে আমরা দিয়েছি, তার অস্বীকারের কারণে
(অভ্যন্তরীণ সংকোচক)
অন্ধকারে নিমজ্জিত এবং
(সে অস্বীকারে অনড় থাকা সত্ত্বেও)
সে কি এমন কেউ হবে যে তার কাছ থেকে আর কখনো বের হতে পারবে না?
(না)। (কাফেরদের জন্য তারা যা করে, তা তাদের এমনভাবে প্রভাবিত করে যে তারা তাদের অবস্থা বুঝতে পারে না, তাদের অনুভূতিকে পক্ষাঘাতগ্রস্ত করে ফেলে।)
এভাবে তাদের অবস্থা তাদের কাছে চাকচিক্যময় করে দেখানো হয়।”
(আল-আনআম, ৬/১২৩)
এই আয়াতে যেমন বলা হয়েছে, যার বিবেক কুফরির পাঁকে নিমজ্জিত, সে যদি ঈমানের দিকে নিজের ইচ্ছাশক্তিকে কাজে লাগায়, তাহলে সে হেদায়েত লাভ করে পুনর্জীবিত হয়। এই হেদায়েতের দিকে ধাবিত হওয়া তার অতীত ও ভবিষ্যৎকে ঈমানের আলোয় আলোকিত করে এক নিরাপত্তা দান করে।
একটি আত্মা যার হৃদয় অস্বীকারের অন্ধকারে নিমজ্জিত।
সমগ্র মহাবিশ্বের আল্লাহর অস্তিত্ব ও একত্বের সাক্ষ্যকে অস্বীকার ও অবহেলা করে, এমন এক মনোভাব নিয়ে অবিরাম –
বলতে গেলে-
এটি নেতিবাচক শক্তি উৎপন্ন করে। জীবনের সময় ও স্থানের সমস্ত এককে অস্বীকারের ফলে প্রাপ্ত।
ভয়াবহ একাকীত্ব এবং শূন্যতার অনুভূতি।
থামুন।
ঈমানদারগণ হলেন
জীবনের প্রতিটি ক্ষণে, প্রতিটি স্থানে, প্রতিটি আচরণে ও অবস্থায়, সে অস্তিত্বের জগতসমূহের দিকে এবং পরিশেষে পরম অস্তিত্বের দিকে ধাবিত হয়। অতএব, মুমিন সর্বদা অস্তিত্বের সীমা অতিক্রম করে অনন্ত ও চিরস্থায়ী অস্তিত্বের দিকে ধাবমান থাকে।
বিবেক
আমাদের তথাকথিত গভীর অস্তিত্বের অনুভূতির দাবিকৃত মৌলিক উপাদানও
চিরন্তন সত্তা।
সালাম ও দোয়ার সহিত…
প্রশ্নোত্তরে ইসলাম