প্রিয় ভাই/বোন,
বিবাহ একটি গুরুগম্ভীর প্রতিষ্ঠান।
যারা বিয়ে করতে চান, তাদের প্রথমে সরকারিভাবে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে হবে, তারপর লোকসমাজে।
“ধর্মীয় বিবাহ”
যাকে [নাম] বলা হয়, তার জন্য এই আচারটি পালন করা উপযুক্ত হবে।
যাইহোক, যারা বিয়ের জন্য বাগদান করেছেন,
শর্তাবলী মেনে তারা যে আনুষ্ঠানিক বিবাহ-চুক্তি সম্পাদন করে, তা ধর্মীয়ভাবেও বৈধ।
এই অবস্থায় একজন নারী, যার সাথে তার বিয়ে হয়েছে, সে ধর্মীয়ভাবে তার স্বামী, এবং তার স্বামী তাকে তালাক না দেওয়া পর্যন্ত সে অন্য কোনো পুরুষের সাথে বিয়ে করতে পারে না।
পরে, মেয়েটি যদি শারীরিকভাবে একসাথে থাকা থেকে বিরত থাকে, কিন্তু পুরুষটি তাকে তালাক না দেয়, তাহলে ধর্মীয়ভাবে বিবাহ বলবৎ থাকে।
এই পরিস্থিতিতে যা করণীয়,
কোনোভাবে পুরুষকে তালাক দিতে বাধ্য করা, যদি তা না করা যায়, তাহলে সালিশের মাধ্যমে তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটানো। এমন পরিস্থিতিতে, শুধুমাত্র নারীকে কষ্ট দেয়ার উদ্দেশ্যে পুরুষ যদি তালাক না দেয়ার জেদ ধরে, তাহলে তা ধর্মীয়ভাবে সঠিক নয়।
(সূরা বাকারা, ২/২৩১)
অতএব, এহেন পরিস্থিতিতে, সবার আগে একজন জ্ঞানী, গুণী ও সম্মানিত ব্যক্তি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মীমাংসা করার চেষ্টা করবেন; যদি তা সম্ভব না হয়, তাহলে তালাক দিতে অনিচ্ছুক স্বামীকে বোঝাতে হবে যে, তার এই অবস্থানের কোনো লাভ নেই, তাকে এই বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে হবে, বিবাহকে অন্যের ক্ষতি করার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা যায় না, এটা ইসলামের চেতনার পরিপন্থী। এভাবে তাকে তালাক দিতে রাজি করানোর চেষ্টা করতে হবে।
তা সত্ত্বেও, যদি পুরুষ তালাক দিতে অস্বীকার করে, তাহলে নারী ও পুরুষের পরিবার একটি মীমাংসায় পৌঁছানোর জন্য একজন করে সালিস নির্বাচন করবে। যদি কোন পরিবার সালিস নির্বাচন করতে অস্বীকার করে, তাহলে অপর পক্ষ তার পক্ষে একজন ন্যায়পরায়ণ ও নিরপেক্ষ সালিস নির্বাচন করতে পারে।
নির্বাচিত সালিসরা প্রথমে মধ্যস্থতা করেন। প্রয়োজন ও আবশ্যকতা দেখা দিলে, স্বামীর সম্মতি না থাকলেও তারা বিচ্ছেদের রায় দিতে পারেন।
এভাবে উভয়পক্ষের মধ্যে বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যাবে।
সালাম ও দোয়ার সহিত…
প্রশ্নোত্তরে ইসলাম