
প্রিয় ভাই/বোন,
কুফর ও অস্বীকারের ফলে আমাদের সমাজের আধ্যাত্মিক কাঠামো ধ্বংস হচ্ছে, সন্দেহ, দ্বিধা, কুসংস্কার ও ভ্রান্ত ধারণাসমূহ হৃদয়ে ও মনে স্থান পাচ্ছে; এর প্রধান কারণ হল, হেদায়াতের সূর্যস্বরূপ কোরআন ও আমাদের নবী (সাঃ)-এর বরকত থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে উপকৃত না হওয়া।
এমনকি আজকের উন্নত স্তরেও, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে না পারা; সামাজিক জীবন থেকে মমতা, করুণা, ভালোবাসা ও ন্যায়বিচারের মতো গুরুত্বপূর্ণ নীতিগুলি সরে গিয়ে, তাদের জায়গায় অত্যাচার, ধর্ষণ ও নৈরাজ্য স্থান করে নেয়া এবং কোন দার্শনিক মতবাদই সমাজের এই ক্ষতগুলি সনাক্ত ও নিরাময় করার ক্ষমতা না রাখা, এমনকি কিছু মতবাদ নিজেই অত্যাচার ও ধর্ষণের কারণ হওয়া, ইসলামের দ্বারস্থ না হওয়ার কারণেই।
হ্যাঁ, যে ব্যক্তি আধ্যাত্মিক জীবনের প্রার্থী, অনন্ত সুখের প্রেমিক, তার জন্য এই অসম্পূর্ণ ও সীমাবদ্ধ বুদ্ধি, পর্যাপ্ত ও যোগ্য পথপ্রদর্শক হতে পারে না। মানুষ এর দ্বারা একটি নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্তই যেতে পারে। সত্যকে খুঁজে পাওয়া, ইহলৌকিক ও পারলৌকিক সুখ লাভ করা, একমাত্র নবীদের অনুসারী হওয়ার মাধ্যমেই সম্ভব।
মানুষের কাছে সর্বব্যাপী ও অসীম ঐশ্বরিক সত্যের শিক্ষা পৌঁছানোর জন্য নবীর প্রেরণের আবশ্যকতা রয়েছে। যাতে তারা সত্য ও মিথ্যা, ঠিক ও ভুল, বাস্তব ও কুসংস্কারের মধ্যে পার্থক্য করতে পারে।
হ্যাঁ, নবীগণ মানুষকে আল্লাহর একত্ববাদ সম্পর্কে অবহিত করেছেন, যারা তাদের অনুসারী ছিল তাদেরকে আল্লাহর পরিচয় লাভের পথে এগিয়ে নিয়ে গেছেন এবং তাদেরকে শিরক ও ভ্রান্ত বিশ্বাস থেকে মুক্ত করেছেন।
তারা আল্লাহকে যথার্থভাবে ভালোবেসেছেন এবং উম্মতকেও আল্লাহকে ভালোবাসতে শিখিয়েছেন। তারা মহাবিশ্বের নিহিত অর্থ অনুধাবন করে উম্মতকে তা জানিয়েছেন। মানবজাতির সৃষ্টির আদি থেকে যে সব মৌলিক প্রশ্ন ছিল, সেগুলোর যুক্তিগ্রাহ্য উত্তর দিয়েছেন।
তিনি তাদেরকে সর্বশ্রেষ্ঠ গুণাবলী দিয়ে সৃষ্টি করেছেন, তাদের অনুভূতি ও যোগ্যতাসমূহকে সর্বোত্তম উপায়ে লালন-পালন করেছেন এবং তাদেরকে (দূত হিসেবে) প্রেরণ করেছেন।
সালাম ও দোয়ার সহিত…
প্রশ্নোত্তরে ইসলাম