১) চুপচাপ কিন্তু বুদ্ধিমান এবং বেশি কথা না বলা মানুষ সম্পর্কে কি কোন হাদিস আছে?
২) হযরত মুহাম্মদ (সা.) কি খুব কম কথা বলতেন?
৩) এছাড়াও, নবীর ব্যক্তিত্বের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ কোন সাহাবী বা আউলিয়া কি আছেন?
প্রিয় ভাই/বোন,
উত্তর ১:
মানুষের কথাবার্তা নিয়ে কিছু হাদিস নিম্নরূপ:
–
হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, মানুষকে জাহান্নামে নিয়ে যাওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হল জিহ্বা থেকে নির্গত মন্দ কথা।
“যে ব্যক্তি আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস করে, সে যেন হয়তো উত্তম/কল্যাণকর/উপকারী কথা বলে, নতুবা চুপ থাকে।”
(যাওয়াঈদ, ১০/২৯৯)
– হযরত মুআয বর্ণনা করেন: আমি রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলাম, “হে আল্লাহর রাসূল! আমরা যা বলি, সেটার জন্যও কি আমাদের হিসাব দিতে হবে?” তখন রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন:
“
হে মু’আজ! তোমার মা তোমার বিচ্ছেদে ব্যথিত হোক! লোকেদেরকে উপুড় করে জাহান্নামে নিক্ষেপকারী আর কিইবা হতে পারে, তাদের জিহ্বা থেকে নির্গত বাক্য ছাড়া!”
(তিরমিযী, হাদীস নং: ২৬১৬)
– হযরত মুআয (রাঃ) বর্ণনা করেন: হযরত নবী করীম (সাঃ) ইরশাদ করেছেন:
“যতক্ষণ তুমি চুপ থাকবে, ততক্ষণ তুমি নিরাপদ। যখনই তুমি কথা বলবে, তখনই তোমার পক্ষে বা বিপক্ষে (তোমার কথার ফল) লেখা হবে।”
(দেখুন মাজমাউ’জ-জাওয়াইদ, হাদিস নম্বর: ১৮১৫৬)
“যে ব্যক্তি আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস করে, সে যেন উত্তম কথা বলে, নতুবা চুপ থাকে।”
(বুখারী, রিকাক, হাদিস নং: ৬১২০)
উত্তর ২:
হযরত জাবির ইবনে সামুরা (রাঃ) বর্ণনা করেন:
“নবী করীম (সা.) দীর্ঘক্ষণ নীরব থাকতেন/নীরব থাকতেই পছন্দ করতেন। তিনি কম হাসতেন; সাহাবীরা তাঁর সামনে কবিতা আবৃত্তি করতেন, কিছু কথা বলতেন এবং হাসতেন। তিনিও কখনো কখনো…”
(তাদের সাথে যোগ দিতে)
সে হাসতো।”
(তিরমিযী, শামাইল, হাদীস নং: ২৪১)
উত্তর ৩।
– একটি কিংবদন্তি অনুসারে, শারীরিক এবং ব্যক্তিত্ব উভয় দিক থেকেই
নবী মুহাম্মদ (সা.) এর সাথে সবচেয়ে বেশি সাদৃশ্য ছিল হযরত জাফর তাইয়ারের।
(দেখুন মাজমাউ’জ-জাওয়াইদ, হাদিস নম্বর: ৯০৫৫)
– অন্য একটি বর্ণনায়
হযরত হুযাইফা (রাঃ) ব্যক্তিত্বের দিক থেকে নবী করীম (সাঃ) এর সাথে সবচেয়ে বেশি সাদৃশ্যপূর্ণ ছিলেন।
(দেখুন: কেনযুল-উম্মাল, হাদিস নম্বর: ৩৭২৭১)
সালাম ও দোয়ার সহিত…
প্রশ্নোত্তরে ইসলাম