– আমরা বন্ধুরা মিলে একটা চিত্রনাট্য লিখতে চাই। কিন্তু আমরা যতটুকু খোঁজ নিয়েছি, তাতে জানা গেছে যে, একটা সিনেমা শুধুমাত্র ইসলামী শরীয়তের আওতায়ই বানানো সম্ভব।
– আমরা জার্মানিতে – একটি খ্রিস্টান দেশে – বাস করি এবং আমাদের ছবির সিংহভাগ শুটিংও এখানেই হওয়ার কথা ছিল। আমাদের ছবিতে আমরা একটি রোগকে (স্মৃতিভ্রংশ) প্রাধান্য দিতে চেয়েছিলাম। প্রধান পুরুষ চরিত্রটি মুসলিম এবং প্রধান নারী চরিত্রটি অমুসলিম হওয়ার কথা ছিল। আমরা জানতে পারলাম যে, ছবিতে যদি কোনও মহিলা অভিনেত্রীকে অভিনয় করতে হয়, তাহলে তাকে ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী পোশাক পরতে হবে। ইচ্ছাকৃতভাবে পাপ করার ভয়ে আমরা পিছু হটেছি এবং আনুষ্ঠানিকভাবে না হলেও, চিত্রনাট্যটি শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এখনও আমরা দ্বিধায় আছি যে, চালিয়ে যাব কি না।
– আমরা ভাবছি, অমুসলিম মহিলা/পুরুষদের অভিনয় করানো জায়েজ হবে কিনা। কারণ, রোগের পাশাপাশি আমরা আরও দুটি বিষয়কে গুরুত্ব দিচ্ছি: ছবিতে প্রধান নায়কের পরিবার ধর্মীয় শিক্ষা দেবে। আর ছবির শেষে আমাদের প্রধান নায়িকা মুসলমান হবে।
– আপনি যদি এই বিষয়ে একটি স্পষ্ট উত্তর দেন, তাহলে আমরা খুবই খুশি হব।
প্রিয় ভাই/বোন,
সিনেমা হচ্ছে একটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ প্রচার, শিক্ষা ও উপদেশ দেয়ার মাধ্যম।
আমাদের যুগে এই মাধ্যমটি ব্যবহার করা অপরিহার্য। একটি চলচ্চিত্রকে চলচ্চিত্র, একটি চিত্রনাট্যকে চিত্রনাট্য হতে হলে কিছু ন্যূনতম শর্ত পূরণ করতে হয়; সেগুলো পূরণ হবেই, না হলে চলচ্চিত্র চলবে না, উদ্দেশ্য সিদ্ধ হবে না।
একজন অমুসলিম মেয়ে অবশ্যই খোলামেলা হবে, বাস্তব জীবনে এমনটাই হয় এবং দেখাও যায়। প্রশ্নটা হল, মুসলিম হওয়ার পর তার আচরণ কেমন হবে। একজন মুসলিমের আচরণেও ত্রুটি থাকতে পারে, চিত্রনাট্য সেটাকেও দেখাবে, কিন্তু উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য হবে সংশোধন।
সালাম ও দোয়ার সহিত…
প্রশ্নোত্তরে ইসলাম