– আমরা যে তওবা করি, তা কি আমাদের আমলনামার গুনাহগুলো মুছে ফেলে?
প্রিয় ভাই/বোন,
সূরা আল-ইমরানে এই মর্মে একটি আয়াত রয়েছে:
“আর যখন তারা কোন গুনাহ করে ফেলে অথবা নিজেদের উপর জুলুম করে, তখন তারা আল্লাহকে স্মরণ করে এবং নিজেদের গুনাহের ক্ষমা প্রার্থনা করে, আর তারা নিজেদের গুনাহের উপর জেদ ধরে থাকে না। এদেরই পুরস্কার হল তাদের রবের পক্ষ থেকে ক্ষমা এবং জান্নাত, যার তলদেশ দিয়ে নদীসমূহ প্রবাহিত। সেখানে তারা চিরকাল থাকবে। আর নেক আমলকারীদের পুরস্কার কতই না উত্তম!”
১
তাহলে, তওবা কবুল হওয়ার জন্য, গুনাহ মাফ পাওয়ার যোগ্য হওয়ার জন্য, কোন অজুহাত না দেখিয়ে সেই গুনাহে অটল না থাকার শর্ত রয়েছে। যদি কোন ব্যক্তি শুধু নিজের নফসকে দমন করতে না পারার অজুহাতে, বা পরিবেশের প্রতিক্রিয়ার অজুহাতে হারাম কাজ চালিয়ে যায়, তাহলে কি হবে? এ বিষয়ে একটি হাদিসের অনুবাদ হল:
“যখন কোন মুমিন গুনাহ করে, তখন তার অন্তরে একটি কালো দাগ পড়ে। যদি সে গুনাহ থেকে বিরত হয় এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা চায়, তাহলে তার অন্তর সেই কালো দাগ থেকে পরিষ্কার হয়ে যায়। আর যদি সে গুনাহে লিপ্ত থাকে, তাহলে সেই কালো দাগ বৃদ্ধি পায়। কুরআনে এ সম্পর্কে বলা হয়েছে…”
‘পাপের হৃদয়কে আচ্ছন্ন করা’
এর অর্থ এই।
2
হ্যাঁ,
”
“প্রতিটি পাপের মধ্যেই কুফরির দিকে নিয়ে যাওয়ার একটি পথ থাকে।”
এই উক্তিটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সত্যকে তুলে ধরে।
সেটা হচ্ছে;
যে ব্যক্তি ক্রমাগত পাপ করতে থাকে, সে একসময় সেই পাপে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে, আর তা ত্যাগ করতে পারে না। এই অভ্যাস তাকে দিন দিন আরও বড় আধ্যাত্মিক বিপদের দিকে ঠেলে দেয়। সে পাপের পরকালীন শাস্তির অস্তিত্বে বিশ্বাস করতে অস্বীকার করে, এমনকি জাহান্নামের অস্তিত্বেই সন্দেহ পোষণ করতে শুরু করে। অর্থাৎ, অন্তরে যে পাপের বীজ থাকে, তা কালক্রমে – আল্লাহ না করুন – অঙ্কুরিত হয়ে এক বিষবৃক্ষে পরিণত হতে পারে।
এহেন বিপদের সম্মুখীন না হতে এবং শয়তানের ধোঁকায় না পড়তে, মানুষের উচিত যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তওবা করার মতো গুনাহ থেকে নিজেকে বিরত রেখে নিজেকে সংযত করা।
পাদটীকা:
১. সূরা আল-ইমরান, ৩/১৩৫-১৩৬।
২. ইবনে মাজাহ, যুহুদ ২৯।
৩. লেম’আলার, পৃ. ৭; মেসনেবী-ই নুরিয়ে, পৃ. ১১৫।
অধিক তথ্যের জন্য ক্লিক করুন:
–
ক্ষমা প্রার্থনা…
– পাপের জন্য অনুতাপ
সালাম ও দোয়ার সহিত…
প্রশ্নোত্তরে ইসলাম