– আমি সূরা আল-কালামের ১৩ নম্বর আয়াত নিয়ে একটি প্রশ্ন করতে চাই। আয়াতে “যেনিম” শব্দটি আছে, কিন্তু “যেনিম” শব্দের মূল কি ব্যভিচার থেকে আসেনি? তাহলে ব্যভিচারের ফলে যে অর্থ হয়, তা কি -ক্ষমা করবেন- “প*চ” অর্থ বোঝায় না?
– আমি এ বিষয়ে আপনার ব্যাখ্যাগুলো পড়েছি, কিন্তু আপনি কি দয়া করে এটিও ব্যাখ্যা করতে পারেন?
– আচ্ছা, এই শব্দটি কি পরবর্তীতে জনগণের মধ্যে অন্য কোন অর্থে ব্যবহৃত হয়ে থাকতে পারে?
প্রিয় ভাই/বোন,
এ বিষয়ে কয়েকটি বিষয় উল্লেখ করা প্রয়োজন:
ক) জেনিম
শব্দটির সাথে
ব্যভিচার
শব্দ দুটি একই মূল থেকে আসেনি। একটি “জেনেম” মূল থেকে, অপরটি “জেনা” মূল থেকে এসেছে। তবে পরোক্ষভাবে হলেও এদের মধ্যে একটি সম্পর্ক রয়েছে।
(খ)
জেনীম
যার অর্থ হল, যে ব্যক্তি পরবর্তীকালে তার গোত্রে যোগদান করেছে। অধিক প্রচলিত ব্যাখ্যা অনুসারে, এই আয়াত
ওয়ালিদ ইবনে মুগিরা
তার সম্পর্কে অবতীর্ণ হয়েছে। এই লোকটির বংশ পরিচয় জানা ছিল না। অবশেষে ১৮-১৯ বছর বয়সে তার আপাত পিতা তাকে নিজের সন্তান বলে দাবি করে এবং তখন তাকে কুরাইশ গোত্রের বলে স্থির করা হয়। এই কারণে আয়াতে…
“জেনিম”
বৈশিষ্ট্য,
যার বাবা অজ্ঞাত, জারজ সন্তান।
অর্থ হিসেবে অনুধাবন করা হয়েছে।
গ)
জেনিম
শব্দের উৎপত্তি বলে ধরা হয়
“জেনেমেট”
শব্দটির অর্থ হল অতিরিক্ত, বাড়তি। যেমন, একটি ছাগলের কান ফেটে শুকিয়ে ঝুলে গেলে, তা দেখতে পরে জোড়া লাগানো কোন অংশের মত দেখায়। যার বংশ পরিচয় অজানা, সে যে গোত্রে যুক্ত হয়, সে গোত্রে তার অবস্থানও পরে জোড়া লাগানো কোন অংশের মতই।
জেনিম
বলা হয়েছে।
(ঘ)
ওয়ালিদ ইবনে মুগিরা
ঘাড়ে / অথবা কানের নিচে
-ছাগলের গলায় যা থাকে, তার মত-
ঝুলন্ত মাংসের টুকরো বলে তাকে জেনিম বলা হয়েছে। এবং এ জাতীয় আরও ব্যাখ্যা রয়েছে।
(দেখুন তাবারি, রাজি, মাওয়ার্দি, কুরতুবি, সংশ্লিষ্ট আয়াতের তাফসীর)
সালাম ও দোয়ার সহিত…
প্রশ্নোত্তরে ইসলাম