
– আমি জিলহজ্জের রোজা রাখার নিয়ত করেছি, বৃহস্পতিবার প্রথম রোজা রেখেছি। আমাকে কতদিন রোজা রাখতে হবে?
– ঈদের প্রথম দিন কুরবানী করার পর কুরবানীর কলিজা দিয়ে রোজা ভাঙতে বলা হয়। এছাড়া জিলহজ্জের গুরুত্ব সম্পর্কেও যদি একটু বলতেন তাহলে ভালো হতো।
প্রিয় ভাই/বোন,
কুরআন শরীফের সূরা আল-ফাজর-এ
চন্দ্রবর্ষের দ্বাদশ মাস,
নবী করীম (সা.)-এর স্ত্রী হাফসা (রা.) বলেন:
আবুদ্-দারদা (রাঃ) জিলহজ্জ মাসের গুরুত্ব সম্পর্কে বলেন:
“জিলহজ্জের প্রথম নয় দিন রোজা রাখতে হবে, প্রচুর সদকা দিতে হবে, প্রচুর দোয়া ও ইস্তিগফার করতে হবে। কারণ রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:
“যিলহজ্জের প্রথম নয় দিন রোজা রাখলে, তার জীবন বরকতময় হয়, ধন-সম্পদ বৃদ্ধি পায়, সন্তান-সন্ততি বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা পায়, গুনাহ মাফ হয়, নেক আমলের বহুগুণ সওয়াব পাওয়া যায়, মৃত্যুর সময় রুহ সহজে বের হয়, কবর আলোকিত হয়, মিজানে সওয়াব ভারী হয় এবং জান্নাতে উচ্চ মর্যাদা লাভ করে।”
“আল্লাহর কাছে জিলহজ্জের প্রথম দশ দিনে করা আমলের চেয়ে উত্তম আর কিছু নেই। এই দিনগুলোতে
আল্লাহ তাআলার বরকতময়, কোরআন শরীফে যার নামে শপথ করা হয়েছে, জিলহজ্জের প্রথম দশ রাতে কৃত আমলের সওয়াব সাতশ গুণ বৃদ্ধি পাবে বলে নবী করীম (সাঃ) সুসংবাদ দিয়েছেন। এই দিনগুলো আমাদের তওবা করার এবং অল্প সময়ে অধিক সওয়াব অর্জনের সুযোগ দান করে। আমরাও নবী করীম (সাঃ) এর অনুসারী হয়ে, দিনে রোজা রাখবো, সদকা দিবো, আল্লাহ তাআলার জিকির করবো।
রোজা শুরু হয় ফজরের আজানের সাথে এবং শেষ হয় মাগরিবের আজানের সাথে। সে অনুযায়ী, দুপুরের আজান পর্যন্ত অপেক্ষা করে রোজা রাখা যায় না। বরং, সেদিন রোজা রাখা হারাম। কুরবানির দিনে কুরবানির গোশত দিয়ে রোজা শুরু করাও শর্ত নয়।
অধিক তথ্যের জন্য ক্লিক করুন:
সালাম ও দোয়ার সহিত…
প্রশ্নোত্তরে ইসলাম