
প্রিয় ভাই/বোন,
নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা তাঁর সৃষ্টিকুলের কাউকেও অন্যায়ভাবে শাস্তি দিয়ে জুলুম করেন না। বরং মানুষরাই নিজেদের কৃতকর্মের দ্বারা আল্লাহর গজব ডেকে আনে। এই আয়াতে আল্লাহ তাআলা কাফেরদের এই অবস্থার জন্য তাদের নিজেদের দোষকেই দায়ী করেছেন।
এ প্রসঙ্গে একটি হাদিসে কুদসীতে ইরশাদ হয়েছে:
যেমনটি আমরা শুরুতে উল্লেখ করেছি, আয়াতে বলা হয়েছে যে, আল্লাহ মানুষের উপর কোন জুলুম করেন না, বরং মানুষই নিজেদের উপর জুলুম করে।
মানুষেরা নিজেরাই এটা গ্রহণ করেছে। মানুষেরা নিজেদের স্বাধীন ইচ্ছায়, নিজেদের পক্ষে নিজেরাই এটা নির্বাচন করেছে। এই নির্বাচন তাদের নিজেদের। কারণ আল্লাহ তাঁর বান্দাদের উপর কখনো জুলুম করেন না। কিন্তু মানুষ নিজেরাই নিজেদের উপর জুলুম করে। আল্লাহ কখনো জালিম নন। জালিম হচ্ছে মানুষ। জুলুমকারীও তারা, আর যাদের উপর জুলুম করা হয় তারাও তারা। এই মানুষেরা নিজেরাই নিজেদের জালিম এবং মজলুম। কারণ আল্লাহ কখনো জুলুম করে মানুষকে শাস্তি দেন না, অন্যায়ভাবে মানুষকে জাহান্নামে পাঠান না। আল্লাহ মানুষকে তাদের হেদায়াত বুঝতে ও গ্রহণ করতে পারার ক্ষমতা না দিয়ে, তাদের হেদায়াতের জন্য দায়ী করে তাদের উপর জুলুম করেন না। হেদায়াতের পথ বন্ধ করে তাদের উপর জুলুম করেন না।
এমনকি এর চেয়েও বেশি, তিনি দূত ও কিতাব পাঠিয়ে, তাদেরকে তাঁর পরিচয় ও তাঁর ইবাদতের কথা স্পষ্টভাবে না জানিয়ে, তাদেরকে তাঁর দূত ও কিতাব দ্বারা সতর্ক না করে, তাদের কৃতকর্মের জন্য জাহান্নামে পাঠান না। প্রতিটি যুগে তিনি সতর্ককারী পাঠিয়ে, মানুষকে আযাব, জাহান্নাম ও জান্নাতের কথা স্মরণ করিয়ে দেন। তারপরও যারা সতর্ক হতে চায় না, যারা নিজেদের জন্য আগুনকে বেছে নেয়, তাদের জন্য আমাদের রব এই হুমকি দেন যে, “তোমরা জাহান্নামে যাবে।”
আর যদি এই নির্বোধেরা শেষ পর্যন্ত এই হুমকির পরিপ্রেক্ষিতেও নিজেদের আচরণে কোন পরিবর্তন না আনে, না শোনে, না দেখে, না বোঝে; তাহলে অবশ্যই এই লোকগুলো জাহান্নামে যাবে। এ ব্যাপারে কারো কোন আপত্তি করার অধিকার নেই।
সালাম ও দোয়ার সহিত…
প্রশ্নোত্তরে ইসলাম