প্রিয় ভাই/বোন,
প্রশ্নে যে লেনদেনটির কথা বলা হয়েছে, তার একটি দিক হল মজুতদারি, আর অপর দিক হল ব্যবসায়ীর সাথে লেনদেনের বৈধতা। প্রথম বিষয়টি মজুতদারির সংজ্ঞা থেকে বোঝা যাবে।
বাজারে যখন কোনো জিনিসের ঘাটতি দেখা দেয়, যার ফলে মানুষের সেটার প্রয়োজন হয়, তখন দাম বেড়ে যায়।
কোনো ব্যক্তির উৎপাদিত বা আমদানিকৃত পণ্য নয়, বরং
বাজার থেকে পণ্য কিনে দাম বাড়ার অপেক্ষায় রেখে বিক্রি করা হারাম, এটাকে বলা হয় ইحتিকার বা মজুদদারি।
“কৃষিজাত পণ্যকে দাম না বাড়া পর্যন্ত ব্যবসায়ীর কাছে আমানত হিসেবে রেখে দাও।”
বিবৃতিতে অস্পষ্টতা এবং অসম্পূর্ণতা রয়েছে। সম্ভাবনার কথা বিবেচনা করে আমরা নিম্নলিখিত ব্যাখ্যা দিতে পারি:
১.
কৃষিজাত পণ্য যদি ব্যবসায়ীর কাছে আমানত হিসেবে রাখা হয়, তাহলে ব্যবসায়ী সেই পণ্যটি শুধুমাত্র তার গুদামে সংরক্ষণ করবে, সে তা খরচ করতে পারবে না, কেনাবেচা করতে পারবে না। দাম বাড়লে, পণ্যের মালিক হয় নিজে অথবা ব্যবসায়ীকে ক্ষমতা দিয়ে সেই পণ্য বিক্রি করবে। ব্যবসায়ী যদি নিজের জন্য কিনতে চায়, তাহলে…
“চুক্তির দুই পক্ষকে প্রতিনিধিত্ব করার দ্বন্দ্ব থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য”
সে পণ্য মালিকের সাথে একটি ক্রয় চুক্তি করে। এদিকে, সে বিক্রয় চুক্তির পূর্ববর্তী সময়ে গচ্ছিত পণ্য সংরক্ষণের খরচ এবং এ কাজে নিয়োজিত শ্রমের পারিশ্রমিকও আদায় করতে পারে।
২.
যদি কোন পণ্যকে ব্যবসায়ীর কাছে আমানত হিসেবে রাখা হয় এবং ব্যবসায়ী সেই পণ্যটি ব্যবহার করে, তাহলে সেই পণ্যটি আমানত হিসেবে রাখা হয়নি বলে গণ্য হবে; কারণ আমানতের ক্ষেত্রে এমনটা করা যায় না। সেক্ষেত্রে, সেই পণ্যটি তাকে ধার হিসেবে দেওয়া হয়েছে বলে গণ্য হবে। যখন কাঙ্ক্ষিত মূল্য পাওয়া যাবে, তখন ব্যবসায়ী হয় পণ্যটি ফেরত দেবে অথবা সেই দিনের বাজারমূল্য পরিশোধ করবে।
৩.
এখানে আরেকটি বৈধ অনুশীলন রয়েছে:
অফিসটি একটি কোম্পানির কাছে তার পণ্য বিক্রি করে এবং তা আমানত হিসেবে নিজেদের গুদামে রাখে। কোম্পানিটি পণ্যটিকে খণ্ড খণ্ড করে সার্টিফিকেট ইস্যু করে এবং এই সার্টিফিকেটগুলো বিনিয়োগ করতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের কাছে বিক্রি করে। পণ্য/সার্টিফিকেটটি কাঙ্ক্ষিত মূল্যে বিক্রি হলে খণ্ড (সার্টিফিকেট) ধারকরা লাভবান হন। একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর কোম্পানিটি বিলুপ্ত হয়ে যায় এবং অফিসটি অবশিষ্ট পণ্যটি বাজার মূল্যে ফেরত কিনে নেয়।
এই সমস্ত লেনদেনকে হারাম সুদखोरीতে পরিণত না করে পরিচালনা করতে হবে।
সালাম ও দোয়ার সহিত…
প্রশ্নোত্তরে ইসলাম