প্রিয় ভাই/বোন,
যদি কেউ কোনো ব্যক্তিকে তার স্ত্রীকে তালাক দেয়ার জন্য উকিল নিযুক্ত করে এবং উকিলের তালাক দেয়ার ফলে তালাক কার্যকর হয়।1
মোহর,
বিবাহের বৈধতার শর্তগুলির মধ্যে মোহর নেই। অর্থাৎ, মোহর ছাড়া, মোহরের শর্ত না রেখেও বিবাহ সম্পন্ন করা যেতে পারে। বিবাহ সম্পাদনের সময় মোহর উল্লেখ করাও বাধ্যতামূলক নয়। তাই মোহরবিহীন বিবাহ বৈধ। মোহর বিবাহের শর্ত নয়, তবে বিবাহের বিধানগুলির মধ্যে একটি।
মোহরের বিধানের অর্থ হল: বিবাহ সম্পন্ন হওয়ার পর স্ত্রী স্বামীর কাছ থেকে মোহর পাওয়ার অধিকারী হয়। অর্থাৎ মোহর হল বিবাহের ফলস্বরূপ প্রাপ্ত একটি অধিকার। যদি কোন নির্দিষ্ট পরিমাণ নির্ধারিত থাকে,
(মোহরানা),
নির্ধারিত পরিমাণ; যদি অনির্ধারিত হয়
মোহরানা সদৃশ
অর্থাৎ, মেয়েটি তার সমবয়সী ও সমতুল্য নারীদের যে পরিমাণ মোহর পায়, তা পাওয়ার যোগ্য। উভয় প্রকার মোহরই পুরুষের পক্ষে প্রদান করা ওয়াজিব। এর প্রমাণ এই আয়াতটি:
“তোমরা তোমাদের স্ত্রীদেরকে খুশী মনে মোহর দাও।”
2
স্বামী-স্ত্রী বিচ্ছেদ হলেও স্ত্রীকে মোহর দিতে হবে। এই বিষয়ের একটি উত্তম উদাহরণ হিসেবে আমরা এই হাদিসটি উল্লেখ করতে পারি:
উকবা ইবনে আমির বর্ণনা করেন: রাসূলুল্লাহ (সা.) এক ব্যক্তিকে বললেন:
“আমি কি তোমার অমুক নামের ভদ্রমহিলার সাথে বিয়ে দেই?”
লোকটি,
“হ্যাঁ”
সে বলল। মহিলাকে,
“তুমি কি আমাকে অমুক পুরুষের সাথে তোমার বিয়ে দিতে রাজি আছো?”
মহিলাটি জিজ্ঞেস করলেন।
“হ্যাঁ”
সে বলল। সে তাদের বিয়ে দিল। লোকটি স্ত্রীর সঙ্গে সহবাস করল। কিন্তু কোন মোহর ধার্য করা হয়নি। কিছুকাল পর যখন লোকটির মৃত্যু আসন্ন হল, সে বলল:
“রাসূলুল্লাহ (সা.) আমাকে অমুক মহিলার সাথে বিবাহ দিয়েছিলেন। আমি তার জন্য কোন মোহর ধার্য করিনি। অন্য কিছুও দেইনি। এখন আমি তাকে মোহর হিসেবে খাইবারের আমার অংশ দিচ্ছি।”
“মহিলাটি সেই অংশটি নিল এবং এক লক্ষ দিরহামে বিক্রি করে দিল।”
3
সূত্র:
১.
তাতারখানিয়্যা – আল-মাবসুত – শামসু ১-ইম্মা সারাখসী।
২.
সূরা আন-নিসা, ৪।
৩.
আবু দাউদ, নিকাহ: ৩২।
(জালাল ইলদিরিম, সূত্রসহ ইসলামী ফিকহ, উইসাল প্রকাশনী: ৩/৩২; মেহমেদ পাকসু, পরিবারের জন্য বিশেষ ফতোয়া)
সালাম ও দোয়ার সহিত…
প্রশ্নোত্তরে ইসলাম