উলুল-আমর (শাসক) এর আনুগত্য সম্পর্কে কি আপনি তথ্য দিতে পারেন? এই আনুগত্য কি দারুলহারব (যুদ্ধক্ষেত্র) এও প্রযোজ্য?

উত্তর

প্রিয় ভাই/বোন,


– উলুল-আমর এর অবস্থা,

যে ব্যবস্থায়ই সে থাকুক না কেন, আল্লাহর আদেশ-নিষেধের পরিপন্থী না হলে, তার আদেশ মানা ওয়াজিব। এর অর্থ হল: প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য হল, সে যে রাষ্ট্রের নাগরিক, সে রাষ্ট্রের এমন আইন মেনে চলা, যা ইসলাম ধর্মের পরিপন্থী নয়। কারণ, ইসলামের পরিপন্থী নয় এমন প্রত্যেক আইন, পরোক্ষভাবে ইসলামেরও অনুমোদনপ্রাপ্ত বলে গণ্য হয়।

– এই আইনগুলি আল্লাহর নামে না হলেও, তা প্রয়োগ করা একটি গুরুত্বপূর্ণ ত্রুটি হলেও, কার্যত তা মানবজাতির সেবায় নিয়োজিত। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, নিরাপত্তা, ট্রাফিক, সাধারণ নৈতিক মূল্যবোধ সম্পর্কিত সার্বজনীন নিয়মগুলি যেমন সামাজিক জীবনের অপরিহার্য উপাদান, তেমনি ইসলামেরও উৎসাহদানকারী কল্যাণকর বিষয়। পরিচিত উদাহরণস্বরূপ; প্রত্যেক নাগরিকের কর দেওয়া, নির্ধারিত ট্রাফিক নিয়ম মেনে চলা, অবৈধ বিদ্যুৎ, অবৈধ জল ব্যবহার না করা, অবৈধ নির্মাণ না করা ইত্যাদি দায়িত্ব রয়েছে। কারণ, এই নিয়মগুলি সমস্ত মানুষের স্বার্থে নিহিত।

এগুলোর বিরোধিতা করা,

অপরের অধিকার

এর অর্থ হল ভিতরে প্রবেশ করা।

– ইয়াজিদ, ওয়ালিদ, হাজ্জাজ প্রমুখ অত্যাচারী শাসকদের আমলে অনেক ধার্মিক লোক –আল্লাহর বিরুদ্ধাচরণ না করে– যে ইতিবাচক আচরণ দেখিয়েছেন, তা এই সত্যকে подтверণ করে। কারণ, এটা একটা সত্য যে, –আল্লাহর বিরুদ্ধাচরণ না করে– প্রচলিত আইনের অবাধ্যতা নৈরাজ্য সৃষ্টি করে। নৈরাজ্যমূলক পরিবেশ কারো জন্যই মঙ্গলকর নয়।

অধিক তথ্যের জন্য ক্লিক করুন:

– উলুল-আমর…


সালাম ও দোয়ার সহিত…

প্রশ্নোত্তরে ইসলাম

সর্বশেষ প্রশ্ন

দিনের প্রশ্ন