প্রিয় ভাই/বোন,
– ন্যায়বিচার যেন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়, সেজন্য মানুষকে যে বুদ্ধি ও স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি দেওয়া হয়েছে, তা কেউ অস্বীকার করতে পারে না।
ইচ্ছাশক্তির পরিধি এতই বিস্তৃত যে, তা যেমন উচ্চে উঠতে পারে, তেমনি নিম্নেও পতিত হতে পারে।
ফলস্বরূপ, জান্নাত এবং জাহান্নাম যার পরিণতি, সেই পরীক্ষার গুরুত্বও সেই অনুযায়ী।
এটাই সেই পরীক্ষা, যা এই বিরাট পরিণতির দিকে নিয়ে যায়, তাই আল্লাহ মানুষকে সবচেয়ে জঘন্য অপরাধ সংঘটিত করারও অনুমতি দিয়েছেন।
প্রশ্নে উল্লেখিত অপরাধের মতো ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডও এই স্বাধীন ইচ্ছার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে সংঘটিত হয়।
ইসলামী বিশ্বাস অনুসারে, আল্লাহ এই নরপিশাচকে জাহান্নামের আগুনে পুড়িয়ে সেই মেয়েটির প্রতিশোধ হাজার গুণ বেশি নিবেন।
এর বিপরীতে, এই মেয়েটি, যে কয়েক ঘন্টা ধরে অত্যাচার সহ্য করেছে এবং নির্মমভাবে নিহত হয়েছে, তাকে তার কষ্টের বিনিময়ে একটি চিরস্থায়ী, স্বর্গীয় সুখের আবাসস্থলে অগণিত নেয়ামত দিয়ে পুরস্কৃত করা হবে।
– প্রশ্নটি বরং তাদের প্রশ্নের মতো যারা ঈশ্বরে সত্যই বিশ্বাস করে না। তাহলে আমরা তাদের কাছে প্রশ্ন করি:
অথচ আমরা তো বিশ্বাসী হিসেবে বলি।
– যারা জান্নাত ও জাহান্নামের মালিক মহান আল্লাহর প্রতি বেয়াদবি করে এবং মানুষের স্বাধীন ইচ্ছায় সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের দায়ভার আল্লাহর উপর চাপায়, তারা কি তাদের নির্বুদ্ধিতার কারণে কত বড় অপরাধ করছে তা বুঝতে পারছে?!
সালাম ও দোয়ার সহিত…
প্রশ্নোত্তরে ইসলাম