প্রিয় ভাই/বোন,
ইসলামে জাদু ও যাদুটোনা নিষিদ্ধ। কোরআন শরীফে বলা হয়েছে যে, যাদুকররা কখনো সফল হবে না।
নবী করীম (সা.) একটি হাদিসে দ্বিতীয় স্থানে এর উল্লেখ করেছেন। অন্য একটি হাদিসে তিনি বলেছেন যে, জাদু-টোনা করা ব্যক্তি কুফরিতে লিপ্ত হয়।
তিনি আরও উল্লেখ করেছেন যে, প্রেম-ভালোবাসার জন্য তাবিজ করা, সুতোয় মন্ত্র পড়া এবং জাদু করা শিরক। জাদুতে বিশ্বাসকারী ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না (আহমদ ইবনে হাম্বল, II, 83; IV, 399)।
অন্য একটি হাদিসে বলা হয়েছে যে, যে ব্যক্তি যাদুকর, জ্যোতিষী বা অদৃশ্যের খবর দাতার উপর বিশ্বাস করে, সে কোরআনকে অস্বীকার করেছে।
আমাদের একটা প্রবাদ আছে; আমরাও বোধহয় মাঝে মাঝে তাই করি। যেসব সমস্যার সমাধান খুঁজে পাই না, যেসব সমস্যার রোগ নির্ণয় করতে পারি না, সেগুলোর সমাধান আমরা জাদু-টোনায় খুঁজি; আর সঙ্গে সঙ্গে রায় দিয়ে দিই।
আমার মনে হয়, টাকাটা কেটে দাও, তাহলে আর কোনো জাদুকর বা যাদুকরী থাকবে না।
জাদুকররা না কাউকে কারো প্রতি প্রেমাসক্ত করতে পারে, না কারো প্রতি ঘৃণা সৃষ্টি করতে পারে। আল্লাহ এই ক্ষমতা কাউকে দেননি।
আসলে, আমি জাদুবিদ্যার অস্তিত্বে বিশ্বাস করি। তবে আমার মনে হয়, এটি ইতিহাসের একটি বিলুপ্তপ্রায় বিদ্যা, এবং এর প্রয়োগ ও সমাধান পদ্ধতি সংক্রান্ত জ্ঞান বর্তমান সময়ে আর প্রচলিত নেই।
যদি জাদু করা বা জাদু ভাঙার বিদ্যা থাকে, তবে তা বইয়েই থাকবে। আর বইয়ে থাকলে তা শুধু অজ্ঞাত ব্যক্তিরাই জানবে না, বই পড়া সবাই এই জ্ঞান লাভ করবে। দেখা যাচ্ছে, বই পড়া লোকেদের মধ্যে এমন সঠিক জাদু করা বা জাদু ভাঙার জ্ঞান নেই।
সালাম ও দোয়ার সহিত…
প্রশ্নোত্তরে ইসলাম
মন্তব্যসমূহ
আমার স্ত্রীও শুক্রবার সন্ধ্যায় এক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। তিনি একজন ধার্মিক যুবতী ছিলেন। সম্ভবত তিনি ওযু অবস্থায় ছিলেন, কারণ তিনি ওযু ছাড়া রাস্তায় বের হতেন না। ইনশাআল্লাহ, তিনি শহীদদের মর্যাদায় আছেন। আল্লাহ তাআলা আমাদের সকলের মৃতদের উপর রহমত বর্ষণ করুন।
এমনকি আমাদের নবীর উপরও জাদু করা হয়েছিল।
কোরআন জাদু-টোনায় বিশ্বাস করতে নিষেধ করে না।
হাদিসে বলা নেই যে, যখন জাদু করা হয় তখন আরোগ্য লাভের চেষ্টা করো না, বরং জাদু করাবেন না, অর্থাৎ জাদুতে বিশ্বাস করবেন না।
প্রতিটি শান্তি, প্রতিটি নিরাময় কোরআনে নিহিত। আল্লাহর কাছে আশ্রয় গ্রহণই হল মূল। আমি আল্লাহর কাছে আশ্রয় নিয়ে কত না কষ্ট পার করেছি।