– আল্লাহর কি সব গুণাবলী অনন্ত? যেমন, দয়া, ক্রোধ ইত্যাদি?
– আল্লাহ যদি কোন কিছু চান, তাহলে কি তা অবশ্যই হবে?
– নাকি আল্লাহর জন্য, সে চায় কিন্তু করে না, এমন একটা অভিব্যক্তি ব্যবহার করা হয়?
– উদাহরণস্বরূপ, আমরা কি বলতে পারি যে আল্লাহ চান বা চাইতেন যে সবাই ভালো থাকুক?
– যদি সে চাইতো, তাহলে কি তা হওয়া উচিত ছিল না?
– এর মানে কি এই নয় যে, আল্লাহ চান যে সবাই ভালো হোক, তিনি শুধু ইচ্ছা করেন না, বরং এটাকে সঠিক মনে করেন?
প্রিয় ভাই/বোন,
আল্লাহ চান যেন সবাই ভালো থাকে।
কিন্তু এই চাওয়ার ব্যাপারটা
এটি দুই ভাগে বিভক্ত, একটি হল কওনী (সৃষ্টিগত) এবং অপরটি হল শরঈ (ধর্মীয়)।
সৃষ্টি
ইচ্ছা/অভিপ্রায়ের নাম
“সৃষ্টির ইচ্ছা”
ওহী
এবং ঐশ্বরিক ইচ্ছাশক্তি যা দ্বারা সঞ্চারিত হয়, তা হল
“আইনী ইচ্ছাশক্তি”
হয়।
প্রত্যাদেশ
আল্লাহর পক্ষ থেকে আসা সমস্ত আদেশ তাঁর ইচ্ছা ও অভিপ্রায়কে প্রকাশ করে। আল্লাহর সমস্ত আদেশ উত্তম ও সুন্দর।
অর্থাৎ, আল্লাহ চান যে সবাই ভালো ও সুন্দর হোক। কিন্তু, পরীক্ষার খাতিরে…
আল্লাহর বিধিবদ্ধ ইচ্ছা
এটা জোরজবরদস্তি নয়, বরং উপদেশমূলক। উদাহরণস্বরূপ, আল্লাহ সকল মানুষকে ঈমান আনার নির্দেশ দেন, কিন্তু কাউকে জোর করেন না। এজন্যই ঈমানদারদের পাশাপাশি অবিশ্বাসীও রয়েছে।
“যদি তোমরা অস্বীকার কর, তবে নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের ঈমানের মুখাপেক্ষী নন। কিন্তু তিনি তাঁর বান্দাদের অস্বীকার করাকে পছন্দ করেন না। যদি তোমরা কৃতজ্ঞ হও, তবে তিনি তোমাদের জন্য তা পছন্দ করবেন।”
(সূরা আয-যুমার, ৩৯/৭)
আয়াতে এই সত্যটিই তুলে ধরা হয়েছে।
এর বিনিময়ে,
সৃষ্টির ইচ্ছায়
জবরদস্তি আছে। অর্থাৎ
আল্লাহ যখন কোন কল্যাণ বা অকল্যাণ সৃষ্টি করতে ইচ্ছা করেন,
অবশ্যই হবে, কিছুই তার এই সৃষ্টিগত ইচ্ছা ও অভিপ্রায়ের বিরুদ্ধে যেতে পারে না।
সংক্ষেপে,
আল্লাহ তাআলা ওহীর মাধ্যমে যা নির্ধারণ করেছেন এবং যা তিনি চান, তার পছন্দ।
-পরীক্ষার প্রয়োজনে
– মানুষের হাতে তুলে দিয়েছেন। মানুষ যদি আল্লাহর ইচ্ছার বিরুদ্ধাচরণ করে কুফরিতে লিপ্ত হতে চায়, তাহলে তার স্বাধীন ইচ্ছায় বাধা দেওয়া হবে না।
আল্লাহ নেক কাজের উদ্যোগকে ফিরিয়ে দেন না, তবে মন্দ কাজের উদ্যোগকে কখনো কখনো ফিরিয়ে দেন, আর এটাই তাঁর (মহত্ত্বের) প্রমাণ।
এটি একটি অনুগ্রহ এবং দানশীলতা।
সালাম ও দোয়ার সহিত…
প্রশ্নোত্তরে ইসলাম